Samudra Sathi Prakalpa : আগামী ৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে পশ্চিমবঙ্গের বাজেট অধিবেশন পাস হলো।এদিন মৎস্যজীবীদের জন্য একটি নতুন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়।এই প্রকল্পের দ্বারা পশ্চিমবঙ্গের তিনটি জেলার মৎস্যজীবীদের বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে দু মাসের জন্য পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
Samudra Sathi Prakalpa : দেখে নেওয়া যাক কিভাবে আবেদন করা যাবে ?
Samudra Sathi Prakalpa : স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে, বেশ কয়েকটি নতুন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন। তার মধ্যে একটি হল সমুদ্র সাথী প্রকল্প। এই প্রকল্পের অধীনে উপকূলবর্তী তিনটি জেলা যথা পূর্ব মেদিনীপুর উত্তর চব্বিশ পরগনা ও দক্ষিণ 24 পরগনার মৎস্যজীবীদের সুবিধা প্রদান করবে সরকার। এই তিনটি জেলার মৎস্যজীবীদের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে জুন মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত নথিভুক্ত মৎস্যজীবীদের মাসিক ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দেয়া হবে। অর্থাৎ দু মাসে ১০০০০ টাকা দেওয়া হবে।
Samudra Sathi Prakalpa : এই খাতে বরাদ্দ টাকার পরিমাণ ২০০ কোটি।
Samudra Sathi Prakalpa : প্রসঙ্গত চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আরো জানান এই প্রকল্পের ফলে প্রায় দু’লক্ষ মৎস্যজীবী উপকৃত হবে।
কেন সমুদ্র সাথী প্রকল্পটি (Samudra Sathi Prakalpa) গঠিত হলো?
Samudra Sathi Prakalpa : রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে উপকূলের এই তিনটে রাজ্য উপকূলবর্তী হওয়ায় রাজ্যের অনেক মানুষ সমুদ্রে মৎস্য শিকারের ওপর নির্ভর করে জীবিকা অর্জন করে। এটি একটি কঠিন এবং দুর্গম কাজ ।কিন্তু কাজটি আরো কঠিন হয়ে পড়ে এপ্রিল মাস থেকে জুন মাস পর্যন্ত। কারণ এই সময় সমুদ্রের আবহাওয়া খুব খারাপ থাকায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে দেওয়ার নির্দেশ থাকে না। ফলে মৎস্যজীবীরা এই দুই মাস জীবিকা হীন হয়ে পড়ে। এইজন্য মৎস্যজীবীদের কথা মাথায় রেখে এই দুই মাস তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে মোট ১০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। যাতে এই দুই মাস সমুদ্রে না গিয়েও তারা কিছু আর্থিক সাহায্য পায়। এর ফলে মৎস্যজীবীদের আর আর্থিক দুর্ভোগে ভুগতে হবে না।
আরো পড়ুন
পশ্চিমবঙ্গ বাজেট অধিবেশন ২০২৪ – Click Here
সমুদ্র সাথী (Samudra Sathi Prakalpa) প্রকল্পের দ্বারা কি কি সুবিধা পাবেন মৎস্যজীবীরা?
Samudra Sathi Prakalpa : রাজ্য সরকারের এই নতুন প্রকল্পের দ্বারা মৎস্যজীবীদের এপ্রিল থেকে জুন এই দুই মাস সমুদ্রে না যেতে পেলেও যে অনুদান দেওয়া হবে তার ফলে খুব একটা আর্থিক সংকটে পড়তে হবে না। দু মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে মোট ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে এবং এই প্রকল্পের জন্য প্রায় 200 কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বাজেটে ।
কোন কোন জেলার মৎস্যজীবীরা সুবিধা পাবেন ? বা সমুদ্রসাথী প্রকল্পের জন্য কারা আবেদন করতে পারবেন ?
Samudra Sathi Prakalpa : সমুদ্র সাথে প্রকল্পের জন্য যে তিনটি জেলার মৎস্যজীবীরা সুবিধা পাবেন সেই তিনটি জেলা হলো উত্তর 24 পরগনা দক্ষিণ 24 পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর।
অর্থাৎ সমুদ্র সাথী প্রকল্পের জন্য উত্তর ২৪ পরগনা দক্ষিণ 24 পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মৎস্যজীবীরা শুধুমাত্র আবেদন করতে পারবেন।
সমুদ্র সাথী (Samudra Sathi Prakalpa) | প্রকল্প |
সমুদ্র সাথী প্রকল্প কবে ঘোষণা করা হলো ? | ৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ |
সমুদ্র সাথী প্রকল্প কাদের জন্য | মৎস্যজীবী |
কোন তিনটি জেলা সমুদ্রসাথী প্রকল্পের জন্য আবেদনযোগ্য ? | পূর্ব মেদিনীপুর , উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা |
সমুদ্র সাথে প্রকল্পের দ্বারা মৎস্যজীবীরা কি কি সুবিধা পাবেন ? | এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে জুন মাসের মাঝামাঝি সময় এই দু মাসের জন্য মাসিক ৫০০০ টাকা করে ১০০০০ টাকা ভর্তুকি পাবেন। |
সমুদ্র সাথী প্রকল্পে কতজন সুবিধাভোগী হবে ? | উপকূলবর্তী তিনটি জেলার প্রায় ২ লক্ষ মৎস্যজীবী। |
সমুদ্র সাথী প্রকল্পের জন্য বাজেটে কত টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ? | ২০০ কোটি। |
কবে থেকে চালু হতে চলেছে এই প্রকল্প ? | এই বছর। |
শুধুমাত্র এই তিনটি জেলাতেই কেন সমুদ্র সাথী প্রকল্প (Samudra Sathi Prakalpa) চালু হলো ?
শুধুমাত্র পূর্ব মেদিনীপুর উত্তর 24 পরগনা এবং দক্ষিণ 24 পরগনা এই তিনটি জেলাতেই সমুদ্রসাথী প্রকল্প চালু হলো।কারণ এই তিনটি জেলার মৎস্যজীবীরা সমুদ্রের উপর নির্ভরশীল। সারা বছর সমুদ্র থেকে মৎসর আহরণ সম্ভব হলেওএপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে জুন মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত নিম্নচাপের কারণে সমুদ্রে গোলযোগ চলতে থাকে।প্রায় ঘূর্ণিঝড়ে কেন্দ্র হতে থাকে । এই সময় সরকারিভাবে সামুদ্রিক কাউকে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় না। এজন্য এখানকার উপকূলবর্তী মৎস্যজীবীরা সমস্যার সম্মুখীন হন। কারণ তারা তাদের জীবিকা থেকে বঞ্চিত হন। এই জন্য এই তিনটি জেলার উপকূলবর্তী মৎস্যজীবীদের কথা ভেবে এই প্রকল্প চালু করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে এই ধরনের সমস্যা হয় না বলে বাকি জেলাগুলিতে মৎস্যজীবীদের এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়নি।