স্কুলের শিক্ষকের ঘাটতি থাকার জন্য এবার কলেজের প্রফেসরদের স্কুলে পড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।একমত শিক্ষক মন্ডল।জানবো বিস্তারিত
COLLEGE PROFESSORS WILL TAKE CLASSES AT THE SCHOOL
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সামনে এসেছে। যেখানে জানা যাচ্ছে কোনো স্কুলে উপযুক্ত শিক্ষকের অভাব থাকলে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলি যেকোনো পার্শ্ববর্তী কলেজ থেকে প্রফেসরদের পড়ানোর জন্য আহ্বান জানাতে পারেন।
শিক্ষা দপ্তর আনতে চলেছে নতুন মডেল
ক্লাস্টার মডেল উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ছাত্রদের শিক্ষার সামগ্রিক মানোন্নয়ন করতে এবং গুণমান সম্পন্ন শিক্ষাদানে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জিত ভট্টাচার্য জানান বর্তমানে এই মডেলের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। এই মডেল অনুসারে কোন স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকলে সেই স্কুল পার্শ্ববর্তী কলেজ থেকে প্রফেসরদের পড়ানোর জন্য ডাকতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আগত প্রফেসরকে সেই কলেজের স্থায়ী শিক্ষক হতে হবে।
How to Apply For Senior Citizen Card:পশ্চিমবঙ্গেও চালু হলো সিনিয়ার সিটিজেন কার্ড
ক্লাস্টার মডেলে আদৌ কি লাভবান হবে স্কুলগুলি?
বিশেষ করে বিজ্ঞান বিষয়ের ক্ষেত্রে বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকের অভাব রয়েই যায় রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলিতে। আর এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে শিক্ষা দপ্তরের এই ক্লাস্টার মডেল,যেখানে কলেজের শিক্ষকরা পার্শ্ববর্তী স্কুলগুলিতে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পড়াতে পারবেন।
ক্লাস্টার মডেল কত প্রকার?
ক্লাস্টার মডেল মূলত দুই প্রকার। যথা –
- হরাইজন্টাল ক্লাস্টার মডেল:- এই মডেল অনুসারে অন্য কোন স্কুলের শিক্ষক প্রয়োজনে কোন একটি স্কুলে পড়ানোর জন্য যেতে পারেন।
- ভার্টিকাল ক্লাস্টার মডেল:- এই মডেল অনুসারে কোন একটি কলেজের শিক্ষক প্রয়োজনে অন্য কোন স্কুলে পড়ানোর জন্য যেতে পারেন।
এই মডেল অনুসারে কি কি সুবিধা পাবে স্কুলগুলি?
- স্কুলগুলিতে যতদিন শিক্ষকের অভাব থাকবে ততদিন স্কুলগুলি কলেজ থেকে শিক্ষক এনে পড়াতে পারবেন।
- এই মডেল শুরু হলে উচ্চ গুণমান সম্পন্ন শিক্ষা পাবে শিক্ষার্থীরা।
- স্কুলগুলিতে অনেকটাই শিক্ষকের অভাব মিটবে।
কখন থেকে শুরু হবে এই ক্লাস্টার মডেল?
শিক্ষা দপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এই মডেলের কাজ শুরু হতে পারে চলতি বছর থেকেই।
যদিও এই প্রক্রিয়া শুরু হলে স্কুলগুলি কতটা লাভবান হবে সেটাই দেখার বিষয়। এই মডেল অনুসারে স্কুলের সাময়িক লাভ হলেও চিরস্থায়ী লাভের জন্য নির্দিষ্ট বিষয়ের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট শিক্ষকের অত্যন্ত জরুরী।