বেশ কয়েক বছর আগে রেশন কার্ড থাকলেই পাওয়া যেত কেরোসিন তেল।সম্ভবত একটি রেশন কার্ডে ১ লিটার তেল ধার্য ছিল।কিন্তু বর্তমানে আজ ২০২৪ সালে সময় অনেক পরিবর্তন হয়েছে।বর্তমানে গ্রাম হোক বা শহর লন্ঠন ,উনুন , হ্যারিকেল এগুলি আর দেখা যায় না বললেই চলে।কেরোসিন তেলের চাহিদা কমতে থাকায় ধীরে ধীরে কেরোসিন তেল দেওয়ার পরিমাণও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে অনেক দিন থেকেই। অবশেষে কি এবার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয়া হবে ? বিস্তারিত জানবো আজকের এই প্রতিবেদনে
কেন হঠাৎ করে রেশন নিয়ে এরকম তথ্য উঠে এলো?
সরকার থেকে বলা হয়নি যে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যাবে। কেরোসিন তেল বরাদ্দ কম থাকায় মে এবং জুন মাস থেকে রেশনে কেরোসিন তেল পরিমাণে তুলনায় কম দেওয়া হবে। এমনটাই জানানো যাচ্ছে সরকারি সূত্রের খবর অনুযায়ী। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকে তরফ থেকে প্রতি মাসেই যে কেরোসিন তেল প্রত্যেক রাজ্যে পাঠানো হয় সেগুলি রাজ্য সরকার খাদ্য দপ্তরের মাধ্যমে রেশন ব্যবস্থা দ্বারা গ্রাহকদের মধ্যে সরবরাহ করে থাকে।
সূত্র অনুযায়ী রাজ্যের জন্য বরাদ্দ থাকা তেলের পরিমাণ কমানো হয়েছে । এর ফলে সমস্ত উপভোক্তা পরিমাণ এর থেকে কম তেল পাবেন।হয়তো অনেকে নাও পেতে পারেন।প্রতিমাসের শুরুতেই কোন উপভোক্তা কতটা পরিমাণে রেশনের সামগ্রী পাবেন সেটি রাজ্য সরকার দ্বারা নির্ধারণ করা হয়।রেশনে যেমন চাল গম চিনি এ ধরনের খাদ্য সামগ্রী গুলো থাকে তার সঙ্গে জ্বালানি হিসেবে থাকে কেরোসিন তেল ।
সভ্যতা যতই উন্নত মানের হোক এখনো প্রচুর বাসিন্দা রয়েছে যাদের বাড়িতে এখনো উনুন এই রান্না হয়। অনেক গ্রাম রয়েছে যেখানে এখনো বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা উন্নত মানের হয়নি। সেই সকল অঞ্চলগুলিতে সাধারণ মানুষের কাছে কেরোসিন তেল একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি উপাদান। তাই রেশনে যদি কেরোসিন তেলের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয় অথবা বন্ধ করে দেয়া হয় তাহলে একটি সংকটের মুখে পড়তে হবে এই ধরনের বাসিন্দাদের। যদিও এই ঘটনা যে এখন প্রথম এমন নয় এর আগেও হয়েছে।
রেশনে কেরোসিন তেলের বরাদ্দ
২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে মোট ৫৮ হাজার কিলোমিটার কেরোসিন তেল পাঠানো হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। তার আগের মাস অর্থাৎ মার্চ মাসেও তেলের পরিমাণ সঠিক ছিল। কিন্তু বর্তমানে মে মাসে ধার্য তেলের পরিমাণে থেকে অনেক কম পরিমাণে তেল পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের তরফ থেকে রাজ্যের খাদ্য দপ্তরকে একটি চিঠিও করা হয় যেখানে বলা হয় আগামী মে এবং জুন মাসে বরাদ্দ তেল কম পরিমাণে পাঠানো হবে। এই দুই মাস মোট ৩৯ হাজার ২১২ কিলো লিটার কেরোসিন তেল নির্দিষ্ট করা হয়েছে রাজ্যকে দেওয়ার জন্য।
হঠাৎ করে কম পরিমাণে তেল পাঠানো হবে এটা অনুমান করা যায়নি আগে থেকে। তাই স্বাভাবিকভাবেই একটু অসুবিধায় পড়তে হবে সমস্ত জনগণকে যারা থেকে কেরোসিন তেল পান।
এই দুই মাস ছাড়াও এর পরের মাসেও হয়তো কম পরিমাণে তেল আসবে। সেজন্য আগামী দিনে কতটা পরিমাণ তেল পাওয়া যাবে সেটা এখন থেকে বলা যাবে না।
এখন কি করনীয়?
গ্রাহকদের পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল দিতে গেলে এবার থেকে বিগত মাসের বরাদ্দ তেল থেকে কিছুটা পরিমাণ তেল সংগ্রহ করতে হবে। এর জন্য সমস্ত রেশন দোকানে রাখতে হবে বিশেষ নজরদারি যাতে তেল চুরি না হয়। অনেক গ্রাহকই থাকেন যারা তাদের কেরোসিন তেল নেন না সেই গ্রাহকদের তেলটিকে সংগ্রহ করে রাখতে হবে।
ভবিষ্যতে কবে পর্যাপ্ত পরিমাণে কেরোসিন তেল পাঠানো হবে সেই বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য উঠে আসেনি।