Digital Attendance System in Education Department : আজকাল এই মডার্ন যুগে বাবা-মা তার সন্তানকে উন্নতমানের স্কুলের পাশাপাশি উন্নত মানের শিক্ষাও দিতে চান। বাবা মা তাদের সন্তানকে স্কুলে পাঠিয়ে একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যায় যে তার সন্তানটি স্কুলেই গিয়েছে। কিন্তু সেই ছেলেটি কি আদৌ প্রত্যেকদিন স্কুলে যাচ্ছে? নাকি স্কুলের নাম করে বেরিয়ে অন্য কোথাও আড্ডা দিচ্ছে?
ডিজিটাল উপস্থিত সিস্টেম চালু হবে রাজ্যের স্কুলগুলিতে
শহরে বা গ্রামাঞ্চলেও অনেক ছাত্রছাত্রীকে স্কুল ইউনিফর্ম পরে স্কুলের সময়ে এদিক ওদিক ঘুরতে দেখা যায় ,কখনোবা তাদের দেখা যায় সিনেমা হলে আবার কখনো পার্কে। অথচ তাদের অভিভাবকরা নিশ্চিন্তে বসে থাকেন এটা ভেবে যে তাদের ছেলেমেয়েরা মন দিয়ে স্কুলে লেখাপড়া করছে। তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকার সমাধান আনতে চলেছে এই জটিল সমস্যারই। ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকতে আজকের এই প্রতিবেদনে।
ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় ফাঁকি দিয়ে স্কুল ছুটির দিন শেষ ?
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে এবার থেকে প্রতিটি স্কুলে চালু হবে ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম। বিভিন্ন সরকারি স্কুলগুলিতে QR CODE ATTENDANCE পদ্ধতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স নেওয়া হবে। এর ফলে অভিভাবকরা সরাসরি জানতে পারবেন তাদের ছেলেমেয়েরা আদৌ সেদিন ক্লাসে উপস্থিত ছিল কিনা।
সরকারের এই নতুন ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স সিস্টেমে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে প্রবেশ করলে বা স্কুল থেকে বেরোলেই অভিভাবকরা এসএমএসের মাধ্যমে আপডেট পেয়ে যাবেন। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলি এমনই ব্যবস্থা শুরু করতে চলেছে। ফলস্বরূপ ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতির রেকর্ড থাকবে ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স পদ্ধতিতে , তাই আর আলাদাভাবে প্রথম পিরিয়ডে টিচারকে ছাত্রছাত্রীদের অ্যাটেনডেন্স নিতে হবে না।
কোন কোন স্কুলে এবং কবে থেকে শুরু হচ্ছে এই নতুন পদ্ধতি
বর্তমানে এই ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম চালু হয়েছে নদীয়া ,দক্ষিণ 24 পরগনা ,সুন্দরবন ও হাওড়ার বিভিন্ন স্কুলে। সম্প্রতি ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম চালু হয়েছে দক্ষিণ কলকাতার সরকারি বিদ্যালয় যাদবপুর বিদ্যাপীঠ স্কুলে। বর্তমানে এই স্কুলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা 1700 জন।
কিভাবে কাজ করবে এই ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম
যে সমস্ত স্কুলে এই ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম চালু হয়েছে সেখানকার ছাত্র-ছাত্রীদের আইকার্ডের পিছনে একটি কিউআর কোড (QR code) বসানো রয়েছে। যেটি একটি নির্দিষ্ট মেশিনের সামনে তুলে ধরলেই সেই ছাত্র ছাত্রীর উপস্থিতি স্কুলের পাশাপাশি অভিভাবকের মোবাইলেও নোটিফিকেশন চলে যাবে। একইভাবে অভিভাবকরা স্কুল ছুটির পরেও নোটিফিকেশন পেয়ে যাবেন।
যদিও জেলার অন্যান্য স্কুলগুলিতে কবে থেকে এই ব্যবস্থা শুরু হতে চলেছে তা এখনও নিশ্চিত রূপে বলা যায় না। যেহেতু এই পরিষেবা চালানোর জন্য ভালো ইন্টারনেটের প্রয়োজন তাই আগে ইন্টারনেট পরিষেবার কাজ সম্পন্ন হলে তবেই এই পরিষেবা চালু হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। যদিও শিক্ষা দপ্তর সমস্ত স্কুলে বিনামূল্যে ইন্টারনেট পরিষেবার কথা আগেই জানিয়েছেন। তাই আশা করা যায় শীঘ্রই এই পরিষেবা সমস্ত স্কুলে চালু হবে।