কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে দুস্থ অথচ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য চালু করা একটি জনপ্রিয় স্কলারশিপ প্রকল্প হলো NSP(National Scholarship Portal) SCHOLARSHIP। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর কাছে এই স্কলারশিপ প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতবর্ষের এমন অনেক ছাত্রছাত্রী আছে যারা ঠিকভাবে সক্ষম না হয় পড়াশোনা ঠিকভাবে চালিয়ে যেতে পারে না। যার কথা মাথায় রেখে কেন্দ্র সরকার ন্যাশনাল স্কলারশিপ পোর্টালের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্নভাবে স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে, যাতে ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের পড়াশোনা সচ্ছলভাবে চালিয়ে যেতে পারে। এনএসপি স্কলারশিপ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকতে আজকের এই প্রতিবেদনে।
ন্যাশনাল স্কলারশিপ কি? এবং কেন প্রদান করা হয়?
ন্যাশনাল স্কলারশিপ হল কেন্দ্র সরকারের শিক্ষা মন্ত্রকের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রোগ্রাম যার উদ্দেশ্য ভারতবর্ষের দুস্থ অথচ মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আর্থিকভাবে সমর্থন এবং পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দান করা। মূলত শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা অর্জনে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্যই এটির উদ্যোগ নিয়েছেন সরকার।
ন্যাশনাল স্কলারশিপ দুস্থ অথচ মেধাবী এমন শিক্ষার্থীদের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করা এবং তাদের সত্যিকারের ভবিষ্যৎ তৈরি করার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এমনটাই আশা করেন সরকার। এই স্কলারশিপের লক্ষণ হল আর্থিক সহায়তা এবং স্বীকৃতি প্রদান। তাই সকল ছাত্র-ছাত্রীর উচিত নিজেদের স্বপ্নগুলোকে বাস্তবায়ন করার জন্য এই সুবর্ণ সুযোগটিকে কাজে লাগানো।
স্কলারশিপ বিভাগ
মূলত স্কলারশিপ প্রকল্পটিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
- প্রি ম্যাট্রিক স্কলারশিপ
- পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপ
- মেরিট স্কলারশিপ
স্কলারশিপে কত টাকা দেওয়া হয়
ক্লাস এবং কোর্সের উপর নির্ভর করে এই স্কলারশিপে সর্বনিম্ন ১০০০০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত পেতে পারে ছাত্রছাত্রীরা।
যোগ্যতা
এনএসপি স্কলারশিপ প্রকল্পে আবেদনের জন্য বেশ কিছু যোগ্যতার মানদন্ড পূরণ করতে হবে শিক্ষার্থীদের। যদিও একাডেমিক স্কোর এবং আর্থিক অবস্থাকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। এনএসপি এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেসব যোগ্যতা গুলি চাওয়া হয়েছে সেগুলি হল-
- প্রথমত সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীকেই অর্থাৎ আবেদনকারীকে ভারতের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
- আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয় 2.5 লাখ টাকার কম হতে হবে।
- আবেদনকারী ছাত্র-ছাত্রীকে যে কোন সরকারি স্বীকৃত বিদ্যালয় বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে।
- আবেদনকারীকে শেষ পরীক্ষায় নূন্যতম ৫০ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করতে হবে।
মূলত উপরের যোগ্যতা গুলি পূরণ করলে তবেই এই স্কলারশিপে আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। তবে বেশ কিছু প্রকল্পে আরও বাড়তি যোগ্যতা চাওয়া হতে পারে।
Swami Vivakananda Scholarship 2024 Full Details: স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের বিস্তারিত জেনে নিন।
আবেদন প্রক্রিয়া
- শিক্ষার্থীদের অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
- আবেদন করার জন্য প্রথমেই ন্যাশনাল স্কলারশিপের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট( scholarships.gov.in) এ গিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে ।
- এরপর পুনরায় লগইন করে নিজের নাম, বাবার নাম ,ঠিকানা, লিঙ্গ ,জন্মতারিখ, একাডেমিক স্কোর ,বর্তমান কোর্সের নাম ইত্যাদি তথ্যবলি দিয়ে আবেদন পত্রটি পূরণ করতে হবে।
- এরপর প্রয়োজনীয় নথিপত্রের স্ক্যান কপি আপলোড করে ফাইনাল সাবমিট করলেই আবেদন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হবে।
**পরবর্তী ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীরা তাদের প্রোফাইল লগইন করেই স্কলারশিপের স্ট্যাটাস চেক সহ সমস্ত কিছু দেখতে পারবে।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
- আবেদনকারীর শেষ পরীক্ষার মার্কশিট,
- পারিবারিক বার্ষিক আয়ের শংসাপত্র,
- আবেদনকারীর আধার কার্ড,
- আবেদনকারীর সম্প্রতি তোলা রঙিন পাসপোর্ট ছবি,
- ভর্তির রশিদ
আবেদনের তারিখ
এই স্কলারশিপ এর আবেদন প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি, প্রতিবছর মূলত আগস্ট মাসে আবেদন প্রক্রিয়ায় শুরু হয়। আবেদন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জন্য এনএসপির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
- অফিসিয়াল ওয়েবসাইট- https://scholarships.gov.in/
- যোগাযোগ নম্বর:- 0120 – 6619540,