WB Primary TET interview : ২০২২ সালে যারা ডেট পাস করেছ ২০২৪ সালে তাদের ইন্টারভিউ নোটিশ এ ডাকার সম্ভাবনা প্রবল।তাই তোমরা এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দাও। আজকের এই পোস্টে ইন্টারভিউ সংক্রান্ত কতগুলি প্রশ্ন দেওয়া হল ।
WB Primary TET interview Question answer suggestion 2024:
WB Primary TET interview :: ২০২২ সালে যে ইন্টারভিউ টি সংঘটিত হয়েছিল সেখানে যে সমস্ত কোশ্চেন গুলো করা হচ্ছিল তারই কিছু নমুনা এখানে দেওয়া হলো।এছাড়াও সেই ধরনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন দেওয়া রয়েছে।তোমরা সকলেই প্রশ্নগুলি ভালো করে পড়ে নাও।ইন্টারভিউতে প্রশ্ন করুন পর্যায়ে প্রশ্নের সংখ্যা খুব বেশি হবে না।কিন্তু কি প্রশ্ন ধরবে সেটা বলা বাহুল্য।সেজন্য প্রত্যেকের ভালোভাবে প্রস্তুত থাকা দরকার।টেটের পাঁচটা বিষয়ের উপর নিজের বিষয়ের উপর এবং বর্তমান সময়ের ওপর। আর দেরি না করে প্রশ্নগুলি ভালো করে দেখে নাও।
1. শিক্ষার চরম লক্ষ্য কি?
➡ আত্ম উপলব্ধি, ব্যক্তি সত্তার বিকাশ,
2. সহজ পাঠ অনুযায়ী আদ্যনাথ বাবুর কন্যার নাম কি?
➡ শ্যামা.
3. ‘হাট’ কবিতাই উল্লিখিত ‘বকশীগঞ্জ জায়গাটি বর্তমানে কোথায়?
➡ বর্তমান বাংলাদেশের জামালপুর জেলার অন্তর্গত একটি পৌরসভা,
4. বকশীগঞ্জ কোন নদীর তীরে?
➡ দশানী (ব্রহ্মপুত্রের পার্ট)
5. সহজপাঠে কোন কোন বর্ণমালা গরুর গাড়ি চালায়?
➡ ম
6. ‘প্রভাতবর্ণন’ কবিতাটি কার লেখা?
➡ মদনমোহন তর্কালঙ্কার.(পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল) .
7. প্রাথমিক স্তরে ‘জগৎবাড়ী’ বইটির পড়ানোর উদ্দেশ্য কি?
➡ সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে তোলা.
8. ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কিভাবে সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাবেন?
➡ কাগজকাটা, মডেল তৈরি, ছবি আঁকা.
9. সহজ পাঠে উল্লিখিত একটি জঙ্গলের নাম বলুন.
➡ কুম্ভিরা
10. সহজ পাঠে বিশ্বম্ভর বাবুর বাড়ি কোথায়?
➡ গুপ্তিপাড়ায়.
11. সহজপাঠে উল্লিখিত চারটি প্রধান শহরের নাম বলুন।
➡ কলকাতা, বোম্বাই, দিল্লি আগ্ৰা.
12. সহজপাঠে উল্লিখিত প্রতিবেশী দেশের একটি শহরের নাম বলুন
➡ লাহোর.
13. সহজ পাঠে উদ্ভব মন্ডলের কন্যার নাম কি?
➡ নিস্তারিণী.
14. পুষ্করিণী শব্দের অর্থ কি?
➡ পুকুর.
15. কোন কোন বর্ণমালা বোঝা নিয়ে হাটে চলে?
➡ চ ছ জ ঝ
16. কোন কোন বর্ণমালা আম পাড়ে?
® ত থ দ ধ
WB Primary TET interview Question answer suggestion 2024
17. ‘I’ লেটার কে subject হিসাবে ব্যবহার করুন যেখানে I মানে ‘আমি’ নয়৷
➡ ‘I’ is an alphabet.
18. পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য মাছ কি?
➡ ইলিশ
19. সহজ পাঠ অনুযায়ী ছোট্ট মেয়ে রোদ্দুরে কি রংয়ের শাড়ি দেয়?
➡ বেগনি বা বেগুনি,
20. সহজ পাঠ অনুযায়ী শক্তিনাথ বাবুর নৌকার নাম কি?
➡ রক্ত জবা,
21. কোন ছাত্র বা ছাত্রী মিড ডে মিল খেতে না চাইলে সহশিক্ষক হিসেবে আপনি কি করবেন?
➡ বোঝাবো,
22. দ্বিতীয় শ্রেণীর একটি রবীন্দ্রসঙ্গীতের নাম বলুন.
➡ আলো আমার আলো ওগো আলো ভুবন ভরা.
23. কোন কোন বর্ণমালা বাদল দিনে ঘরে ছাতা কিনে নিয়ে যায়?
➡ শ ষ স
24. সহজপাঠে উল্লিখিত প্রতিবেশী দেশের একটি শহরের নাম বলুন।
➡ লাহোর.
25. ব্যাঙ্গমা ব্যাঙ্গমি কি?
➡ রূপকথাই বর্ণিত মানুষের মত কথা বলে এমন পাখি,
26. আমরা যে ‘লজেন্স’ বলি এর সঠিক বাংলা উচ্চারণ ও বানান কি?
➡ লজঞ্জুস/লজেঞ্জুস (Lozenge)
27. GST কী ?
➡ Goods and Services Tax বা পণ্য ও পরিষেবা কর হল এক দেশ এক কর ব্যবস্থা । আগে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন দ্রব্য কিনলে তার দাম ভিন্ন ভিন্ন হত। কিন্তু বর্তমানে ক্রেতা কোনো পণ্য কিনলে বা পরিষেবা নিলে ভারতের যেখানেই হোক না কেন তাকে একই দাম দিতে হবে।
কোনো পণ্য বা পরিষেবা বাজারে এলে কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকার উভয়েই আলাদা আলাদা ভাবে কর চাপায় তার ওপর। কিন্তু পণ্য পরিষেবা কর অনুযায়ী কোনো দ্রব্যের ওপর আলাদা আলাদা ভাবে কর না নিয়ে একটিমাত্র কর আরোপ করা হবে যা থেকে কেন্দ্র ও রাজ্য তাদের রাজস্ব ভাগ করে নেবে। ফলে পণ্যদ্রব্যের দামের বৈষম্য দূর হবে।
সূচনা : GST চালু হয় 1 জুলাই 2017। 3 আগস্ট 2016 রাজ্যসভায় ‘পণ্য ও পরিষেবা কর’ বিল পাশ হয়, 8 সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি এই বিলে স্বাক্ষর করেন। সংবিধানের 122 তম সংশোধনী দ্বারা এটি বিলে পরিণত হয়।
এই সময় ভারতের রাষ্ট্রপতি—শ্রীপ্রণব মুখোপাধ্যায় ।
উপরাষ্ট্রপতি-হামিদ আনসারি ।
প্রধানমন্ত্রী— শ্রীনরেন্দ্র মোদি।
অর্থমন্ত্রী—শ্রীঅরুণ জেটলি।
28. NCERT – National Council of Educational Research & Training
29. SCERT – State Council of Educational Research & Training
30. RMSA – Rastriya Madhymika Shiskhya Abhiyan
31. NPE – National Policy of Education
WB Primary TET interview Question answer suggestion 2024
32. SSA – Sarva Shiksha Abhiyan
33. ICT – Information and Communication Technology
34. CCE – Continuous and Comprehensive Evaluation
35. NCF – National Curriculum Framework
36. করোনাভাইরাস
করোনাভাইরাস বলতে আরএনএ ভাইরাসের একটি শ্রেণিকে বোঝায় যেগুলি স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পাখিদেরকে আক্রান্ত করে। এগুলো মানুষ ও পাখির শরীরে শ্বাসনালির সংক্রমণ ঘটায়। এই ভাইরাসের সংক্রমণ মৃদু থেকে মারাত্মক হতে পারে। মৃদু সংক্রমণের ক্ষেত্রে সাধারণ সর্দিকাশি হতে পারে (যা অন্য ভাইরাস, যেমন রাইনোভাইরাসের কারনেও হতে পারে), তবে কিছু ভাইরাসের ক্ষেত্রে মারাত্মক সংক্রমণ, যেমন সার্স, মার্স এবং কোভিড-১৯ হতে পারে। অন্যান্য প্রজাতিতে এই লক্ষণের তারতম্য দেখা যায়। যেমন মুরগির মধ্যে এটা ঊর্ধ্ব শ্বাসনালি সংক্রমণ ঘটায়, আবার গরু ও শূকরে এটি ডায়রিয়া সৃষ্টি করে।
◼ইতিহাস
করোনাভাইরাস ১৯৩০-এর দশকে প্রথম আবিষ্কৃত হয়। প্রথমদিকে মুরগির মধ্যে সংক্রামক ব্রঙ্কাইটিস ভাইরাস হিসেবে এটি প্রথম দেখা যায়। পরে সাধারণ সর্দি-হাঁচি-কাশিতে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এরকম দুই ধরনের ভাইরাস পাওয়া যায়। মানুষের মধ্যে পাওয়া ভাইরাস দুটি ‘মনুষ্য করোনাভাইরাস ২২৯ই’ এবং ‘মনুষ্য করোনাভাইরাস ওসি৪৩’ নামে নামকরণ করা হয়। তবে অনেক দেশের ধারণা যে এই ভাইরাসটি চীন সরকার তার দেশের গরিব জনগনকে শেষ করে দেওয়ার জন্য নিজেরাই তৈরি করে নিজেরাই ছড়িয়ে ছিলো।
◼ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রাথমিক লক্ষণ
জ্বর , অবসাদ , শুষ্ক কাশি , বমি হওয়া , শ্বাসকষ্ট , গলা ব্যথা , মাথা ব্যথা , পেটের সমস্যা , মুখ ও নাকের স্বাদ হারিয়ে যাওয়া , শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে , কিছু রোগীর ক্ষেত্রে উপর্যুক্ত সকল উপসর্গ দেখা গেলেও জ্বর থাকেনা।
◼ শব্দতত্ত্ব
“করোনাভাইরাস” নামটির উৎপত্তি লাতিন শব্দ করোনা থেকে যার অর্থ “মুকুট” বা “হার”। ভিরিয়নের বিশাল কন্দাকৃতি পৃষ্ঠ অভিক্ষেপযুক্ত প্রান্ত রয়েছে যা মুকুটের স্মৃতি তৈরি করে। এর অঙ্গসংস্থান ভাইরাল স্পাইক পেপলোমিয়ার দ্বারা তৈরি হয়েছে যেগুলো মূলত ভাইরাসের পৃষ্ঠে অবস্থিত প্রোটিন।
◼ করোনার প্রতিষেধক
কোভিশিল্ড
- এই ভ্যাক্সিন ডেভলপ করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও সিরাম ইনস্টিটিউট।
- এই ভ্যাকসিনটি হল নন-রেপ্লিকেটিং ভাইরাল ভেক্টর।
- কোভিশিল্ড টীকাটি অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা টীকা নামেও পরিচিত।
- কোভিশিল্ডের কিছু সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল—মাথা ধরা, ক্লান্তি, জ্বর, ঠান্ডা লাগা, গা-গোলানো, পেশী/ সন্ধিস্থলে ব্যাথা।
- কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিনটি 0.5 ml পরিমাণ দেওয়া হয়।
- প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ-এর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। ভাইরাসের যে অণুগুলি আছে সেগুলিকে নষ্ট করতে সাহায্য করে।
- উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস, হাঁপানি, কার্ডিওভাসকুলার রুগীদের জন্য কোভিশিল্ড নেবার পর নিয়মিত চিকিৎসা বা পর্যবেক্ষণের মধ্যে থাকতে হবে।
কোভ্যাক্সিন
কোভ্যাক্সিন হল ভারত বায়োটেক-এর দ্বারা নির্মিত সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরী কোভিড-19 ভ্যাক্সিন যেটি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব
- মেডিক্যাল রিসার্চ-এর সাথে যুক্ত হয়ে তৈরী করা হয়েছে।
- ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অব ইন্ডিয়া (DGCI) এই টীকার ফলাফলের ওপর সীলমোহর দিয়েছে।
- এই ভ্যাক্সিনটিকে জমিয়ে রাখা খুব কঠিন নয় এবং 2-80°C সেলসিয়াসের মধ্যে এই ভ্যাক্সিন সংরক্ষণ করা যায়। জুলাই 2020-তে এই ভ্যাক্সিনটি DGCI-এর অনুমোদন পায়।
স্পুটনিক ভি
করোনা ভাইরাসের বেলাগাম সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে, তৃতীয় টিকা (কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের পর) হিসাবে ভারতে ছাড়পত্র পেল রাশিয়ার ‘স্পুটনিক ভি’। অনুমতি মিলেছে ‘ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া’রও।
- প্রতিষেধকের নাম : স্পুটনিক ভি।
- অন্য নাম : গাম-কোভিড-ভ্যাক।
- নামকরণ : 1961 সালের 12 এপ্রিল মহাকাশে প্রথম পাড়ি দিয়েছিল রাশিয়ার মহাকাশযান ‘স্পুটনিক’। মহাকাশ গবেষণায় অতীতের সাফল্যের মতোই প্রতিষেধক যে রাশিয়া আবিষ্কার করেছে, তা বোঝাতেই এই প্রতিষেধকের নাম রাখা হয়েছে ‘স্পুটনিক’ ও ‘ভি’ কথাটির অর্থ ‘ভ্যাকসিন’।
- প্রস্তুতকারী সংস্থা : মস্কোর গ্যামালিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ এপিডিমিয়োলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
- ভারতে প্রস্তুতকারী সংস্থা : হায়দরাবাদের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ড. রেড্ডি’জ ল্যাবরেটরিজ।
- বিনিয়োগকারী : রাশিয়ান ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড।
- আত্মপ্রকাশ : 2020 সালের 11 আগস্ট।
- ডোজ : 2 টি। প্রথম ডোজ নেওয়ার পর 21 দিন পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। আর তা কাজ করতে শুরু করবে 28 থেকে 42 দিনের মধ্যে।
- সাধারণভাবে 2 থেকে 8 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মজুত করা যায় এই বলে মত বিশেষজ্ঞদের।