যারা ২০২২ সালে পশ্চিমবঙ্গ প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছো, খুব তাড়াতাড়ি তোমাদের ইন্টারভিউ নোটিশ ঘোষণা করা হবে। আজকের এই পোস্টে প্রাইমারি ইন্টারভিউ তে বহু জিজ্ঞাসিত কতগুলি প্রশ্ন দেওয়া হলো। তাই সময় নষ্ট না করে সকলে ভালো করে প্রশ্নগুলি দেখে নাও।
2022 TET Pass Primary interview :
উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করার সুবিধা ও অসুবিধা-
- উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করলে যেটি প্রথম হবে সেটি হল বাংলার ঐতিহ্য নষ্ট হবে, পশ্চিমবঙ্গ হবে আবার বিভক্ত। বাংলার মানচিত্রে ভৌগলিক গত সৌন্দর্য নষ্ট হবে। উত্তরবঙ্গকে আলাদা জেলা বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি দীর্ঘদিনের প্রধানত তিনটি রূপে – গোর্খাল্যান্ড, গ্রেটার কোচবিহার, কামতাপরি।
- প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক এই বিষয়গুলিকে সামনে রেখে একটি রাজ্যকে ভাগ করার দাবী উঠতে পারে এবং সেই মতো অনেক ঘটনা ঘটেছে ইতিহাস তার সাক্ষী।
‘আমার বই’ সম্পর্কে কিছু বলতে পারবেন কি?
ক্লাস ওয়ান এবং ক্লাস টু তে বাংলা, ইংরেজি, অঙ্ক বা আরও কিছু আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে একটি বই আছে যার নাম হল ‘আমার বই । এই বইটি শিশুদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য এই বইতে প্রতিটি পেজে বা প্রতিটি বিষয়ে রঙিন চিত্র ব্যবহার করা হয়েছে। সুন্দর সুন্দর বক্স তৈরি করে সমস্ত বিষয় বি বিভিন্ন অনুশীলনী এই বইতে উপস্থাপন করা হয়েছে। দারুন মজাদার কবিতা, সুন্দর সুন্দর উদাহরণ ব্যবহার করে কিছু গাণিতিক সমস্যা এবং খেলার বিষয়বস্তু বা ইংরেজি ওয়ার্ড এই বইটিতে লক্ষ্য করা যায় ৷
সবুজসাথী প্রকল্প সম্পর্কে একটু বলোতো?
এই প্রকল্পের অধীনে প্রতিটি বিদ্যালয়ে class x 3 xii -এর student দের cycle প্রদান করা হতো। বর্তমান নবম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের এই সাইকেল দেওয়া হয়।
যে কোনো সরকারি বই এর শুরুতেই একটি সংবিধানের পৃষ্ঠা থাকে। সেখানে কী লেখা আছে।
ভারতের সংবিধানপ্রস্তাবনা
আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথ গ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে: সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা, মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ, 1949 সালের 26 নভেম্বর, এতদ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
µ সমগ্র শিক্ষা মিশনে ‘ প্রাইম মিনিস্টারস অ্যাওয়ার্ড‘ পাচ্ছে কোন জেলা ?
® বাঁকুড়া জেলা
‘ প্রমোটিং কোয়ালিটি এডুকেশন ইয়ুথ অ্যান্ড ইক্যুইটেবল অ্যান্ড ইনক্লুসিভ ক্লাসরুম এনভায়রনমেন্ট ‘ ক্যাটেগরিতে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। অর্থাৎ ক্লাসরুমে শিক্ষাদানের অভিনব পদ্ধতি উদ্ভাবনের জন্য এই পুরস্কার পাচ্ছে বাঁকুড়া জেলা প্রসাসন।
সহজ পাঠের নন্দলাল-চিত্রে সাজছে দিঘার বিশ্ব বাংলা উদ্যান।
সহজ পাঠের ছবিগুলি কোন পদ্ধতিতে আঁকা? অথবা সহজ পাঠের ছবিগুলো শুধু সাদা-কালো হয় কেন? অথবা লিনোকাট পদ্ধতি কি ?
® সহজ পাঠের চিত্রালংকার করেছেন নন্দলাল বসু। চিত্রালংকার সাদা কালো চিত্র এবং চিত্রায়নের কৌশলটি লিনোকাট হিসাবে পরিচিত। লিনোকাট , লিনো প্রিন্ট , লাইনো প্রিন্টিং বা লিনোলিয়াম আর্ট নামেও পরিচিত
1911 সালে “লিনোলিয়াম আর্ট” প্রথম নিউ ইয়র্ক সিটিতে চেক এমিগ্রে ভোজেচ প্রিসসিগ দ্বারা প্রদর্শিত হয়েছিল।
Linocut একটি গ্রাফিক টেকনিক, যা উচ্চ চাপ প্রক্রিয়ার কাজ করে এবং কাঠকয়টির নীতিতে অনুরূপ। কাঠ কাটার মতো একটি ল্যাঙ্গোলিয়াম প্লেটের মধ্যে একটি বিশেষ সরঞ্জাম দিয়ে সাধারণত নেতিবাচক প্যাটার্ন সাধারণত তুলনামূলকভাবে কঠিন লিনোলিয়ামের মধ্যে কাটা হয়। উপাদান সহজেই এবং কোনো দিক কাটা যাবে। সমাপ্ত নেতিবাচক প্যাটার্নটি রঙের সাথে overpainted হয় এবং তারপর কাগজে মুদ্রিত হয়। উত্থাপিত এলাকার সাথে জড়িত কালি কাগজে হস্তান্তর করা হয়। কাঠকয়লা মত, তিনি expressionist শিল্পীদের দ্বারা প্রশংসা করা হয়।
কুটুম কাটাম বই, মজারু বই এর বৈশিষ্ট্য বলুন?
কুটুম-কাটাম বই এর বৈশিষ্ট্য –
- পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে ২০১৩ সালে প্রথম প্রাক প্রাথমিক শ্রেণীতে চালু হয় কুটুম-কাটাম বই।
- বিভিন্ন ডট ডট লাইন বা অনেকগুলি বিন্দু যোগ করে ছবি আঁকা হলো এই কুটুম-কাটাম বইয়ের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
- ছবির সাহায্যে ছোট-বড়ো, লম্বা-বেঁটে, কম-বেশি ইত্যাদি সম্পর্কে শিশুদের সঠিক ধারণা দেওয়া।
- ডট বিন্দু যোগ করে শিশুদের অক্ষর লিখতে শেখানো।
- শিশুদের উল্টো ছবি সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়া।
- উপরে উল্লেখিত পয়েন্টগুলিই হলো কুটুম -কাটাম বইয়ের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
l মজারু বই এর বৈশিষ্ট্য-
- মজারু বইটিও প্রাক প্রাথমিক শ্রেণীতে চালু আছে।
- বইটিতে রঙিন চিত্রের সাহায্যে শিশুদের উপযোগী বিভিন্ন গল্প উপস্থাপন করা আছে।
- বিভিন্ন ধরনের জ্যামিতিক চিত্র সম্পর্কে শিশুদের পরিচয়ের ব্যবস্থা আছে৷
- আমাদের বা একটা শিশুর দৈনন্দিন জীবন বিভিন্ন রঙিন চিত্রের সাহায্যে উপস্থাপন করা আছে।
- শিশুদের সংখ্যা গুণতে শেখা, বিভিন্ন জিনিস -পত্রের আকার-আকৃতি চিনতে শেখানোর জন্য এই বইতে রঙিন চিত্রের সর্বস্তরের উপস্থিতি আছে।
Aptitude Test মানে কী?
সবার প্রথমে অ্যাপ্টিউড টেস্ট জানার আগে আমাকে জানতে হবে অ্যাপ্টিউড মানে কী? বাংলায় বললে প্রবণতা কী? প্রবণতা হলো কোন ব্যক্তির মধ্যে যে সুপ্ত ক্ষমতা থাকে যার সাহায্যে কোন ব্যক্তি কোন কাজে সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষমতা অর্জন করতে পারে বা কোন পারদর্শিতা অর্জন করতে পারে সেই ক্ষমতাকে Aptitude বলে, অর্থাৎ এটি কোন ব্যক্তির একটি মানসিক ক্ষমতা। পরিষ্কার করে বললে – কোন কাজ করতে গেলে আপনি যে ক্ষমতার দ্বারা সেই কাজটি সঠিক ভাবে, সহজে, যুক্তিসঙ্গত ভাবে সম্পাদন করতে পারছেন সেই ক্ষমতাকে যখন পরিমাপ করা হবে তখনই সেটা হবে অ্যাপ্টিউড টেস্ট, অর্থাৎ আপনার প্রবণতাকে পরীক্ষা করে দেখাই হলো অ্যাপ্টিউড টেস্ট ।
আমার বই’ তে যে রঙিন ছবিগুলি ব্যবহার করা হয়েছে তা এঁকেছে কে জানেন?
সুব্রত মাজী।
2020 শিক্ষানীতি কতটা ফলপ্রসূ হবে বলে আপনি মনে করছেন?
নতুন শিক্ষানীতি ২০২০ অনুযায়ী ২০২৫ সালের মধ্যে সকলের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। আসছে ফাউন্ডেশন কোর্স, মাল্টি ডিসিপ্লিনারি এর মতো কোর্স। নতুন ভাবে আবার চালু হচ্ছে তিন ভাষার ফর্মুলা। কলেজ বা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির জন্য থাকছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। শিক্ষা ব্যবস্থার নিবিড় ও অনবদ্য উন্নতির জন্য তা সত্যিই খুব উৎসাহ ব্যঞ্জক। যদিও এর ভিতরে অনেক ধরনের প্রশ্ন উঠে আসছে বা বিপক্ষে যুক্তি আছে। তা সত্ত্বেও মনে হচ্ছে এই শিক্ষানীতি – তে জাতীয় শিক্ষার প্রভূত উন্নতি ঘটবে।
শিশুমিত্র ও যামিনী রায় পুরস্কার
→ স্কুলে শৌচাগার আছে কিনা কিংবা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি দেখেই নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার দেওয়া হয়। অন্য দিকে, স্কুলের সঙ্গে পড়ুয়াদের সংযোগ কতটা গড়ে উঠেছে, তারা স্কুলে গিয়ে লেখাপড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশকে কতটা ভালবেসেছে, এই সমস্ত বিষয় বিবেচনা করে শিশুমিত্র পুরস্কার দেওয়া হয়। এই দুই পুরস্কার যে সমস্ত স্কুল পেয়ে থাকে, সেগুলির নামই যামিনী রায় পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা হয়। রাজ্যস্তরের বিচারকেরা বিভিন্ন স্কুল ঘুরে বাছাই করেন ।
কি ভাবে ইংরেজি ভাষাকে শিশুদের মধ্যে সহজলভ্য করে তুলবে?
প্রথমত তাদের ইংরেজি শেখার জন্য উৎসাহিত করতে হবে। কোন ভাবেই ইংরেজি শিখতে নিরুৎসাহিত করা যাবে না। শিশু তার মধ্যে ভোকাবুলারি বৃদ্ধি করা দরকার, সেইজন্য তাদের পরিপার্শ্ব জগতের বিভিন্ন বিষয়কে (পশুপাখি, ফুলফল, ইত্যাদি) ইংরেজিতে কি বলে সেটি যাতে বলতে পারে, লিখতে পারে সেটি অনুশীলন করাতে হবে। পাশাপাশি শ্রেণীতে ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস, বিভিন্ন কম্যান্ডিং ইংরেজিতে যাতে তারা বলতে পারে বা করতে পারে সেটি অনুশীলন করাতে হবে। তাদের বিভিন্ন ডকুমেন্টরি বা ভিডিও ইংরেজিতে দেখানো যেতে পারে। এক্ষেত্রে তাদের যে সামান্য সামান্য ভুল হবে বা অসঙ্গতি থকবে তার জন্য তাদের কোন রূপ নিরুৎসাহিত বা তিরস্কার করা যাবে না।
হিন্দিকে কি রাষ্ট্রভাষা করা উচিত ? – যুক্তি দাও ।
ভারতের সংবিধান অনুযায়ী ভারত সরকারের দাপ্তরিক দেবনাগরী অক্ষরে হিন্দি এবং ইংরেজি। সংবিধানে কোন জাতীয় ভাষা নেই।
ভারতের ব্রিটিশ শাসনের সময়ে ইংরেজি তাদের যুক্তরাষ্ট্রীয় স্তরে ব্যবহার করা হতো। ১৯৫০ সালে সংবিধান গ্রহণের সময় পরিকল্পনা নেওয়া হয় ১৫ বছরের মধ্যে ধীরে ধীরে ইংরেজির বদলে হিন্দিকে বসানো হবে। পরবর্তী পরিকল্পনা অনুযায়ী হিন্দিকে একক ভাবে সরকারী ভাষা করতে গেলে বিভিন্ন রাজ্য থেকে বাধা আসতে থাকে। মূলত ১৪.৫-২৪.৫% মানুষ হিন্দিতে কথা বলেন, বাকি ভারতীয় ভাষাগুলিতে কমবেশি ১০% করে জনগণ কথা বলে। যদিও ৪৫% মানুষ হিন্দিভাষী রাজ্যে বসবাস করেন কিন্তু তাঁদের মাতৃভাষা হিন্দি নয়। এই সমস্ত কারণে শুরু হয় অন্য ভাষা ভাষী রাজ্যগুলির প্রবল বিরোধিতা।
‘বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য’ – এটি ভারতের একটি আদর্শ। প্রতিটি ভাষাভাষী – মানুষের আবেগ এটি ভারতের প্রত্যেক জনগণের আবেগ। ভাষাগত স্বাধীনতা ভারতের সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত স্বাধীনতা। আর ঠিক এই সমস্ত কারণে অন্যান্য রাজ্যের সরকারী ভাষাকে সঙ্গে নিয়ে হিন্দি আজও সরকারী ভাষা হিসাবে চলে আসছে। আর আমি ভারতের এই সংস্কৃতি বৈচিত্র্যকে শ্রদ্ধা জানাই ও সমর্থন করি।
প্রাইমারি ইন্টারভিউ এর জন্য একটি সুন্দর গাইড বই। primary interview guide book 2024
Message Whats App : ছবিতে ক্লিক করে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করো
Get Details & Buy Now