বুধবারই (31/1/2024) TET-এ প্যানেল প্রকাশ করেছিল রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। শীঘ্রই নিয়োগ করা হবে একথা জানিয়েছিলেন খোদ পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। প্যানেলের সঙ্গে দেওয়া হয়েছিল নম্বরের ব্রেক আপও। স্বচ্ছভাবে নিয়োগ নিশ্চিত করার জন্য এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছিল পর্ষদের তরফ থেকে ।
এবার TET প্যানেলের নোটিফিকেশনকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দায়ের করা হল মামলা। জেনে নিন বিস্তারিত
- বুধবারই নয় 9533 জন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্যানেল প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ
- 2022-এর প্যানেল সংক্রান্ত নোটিফিকেশন চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করার আবেদন জানানো হল কলকাতা হাইকোর্টে।
- মামলা দায়ের করার অনুমতি দিলেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, B.E.D পার্থীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য না হলেও ডিএলএড ডিগ্রি থাকা চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করা হবে। বিএড এবং ডিএলএড দুই ডিগ্রি থাকা চাকরিপ্রার্থীরা আদালতের দারস্থ হয়েছে।
B.E.D দের গ্রহণ না করা হলেও D.EL.ED ডিগ্রিকে গুরুত্ব দিয়ে কেন তাদের প্যানেলে যুক্ত করা হল না? প্রশ্ন তুলে মামলা করার আবেদন।
মামলার শুনানির সম্ভাবনা : শুক্রবার ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি 2022 সালের TET প্যানেলে জটিলতা কাটিয়ে যাতে দ্রুত নিয়োগ হয়, সেই জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আর সেই নির্দেশকে কেন্দ্র করেই প্রাথমিকে 9533 জনের প্যানেল প্রকাশিত হয় পর্ষদের পক্ষ থেকে । কিছুদিনের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছিলেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। যাতে দ্রুত এই পদগুলিতে নিয়োগ করা সম্ভব হয় সেই কারণে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল পর্ষদের পক্ষ থেকে। আর সেই আবেদনেই মান্যতা দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
বুধবার 9533 জনের প্যানেল প্রকাশ করা হয়। স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে নম্বরের ব্রেক আপ সহ বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়। এর আগে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে একাধিক অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগগুলির প্রেক্ষিতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। গ্রেফতার করা হয় প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। তিনি আপাতত সংশোধনাগারে রয়েছেন। কোনওভাবেই যাতে স্বচ্ছতা সংক্রান্ত কোনও বিষয় সামনে না উঠে আসে সেই জন্যই ব্রেক আপ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের TET উত্তীর্ণরা মূলত নিয়োগপত্র পাবেন বলে জানা যাচ্ছে। ২০২২ সালের নিযোগপত্রের প্রেক্ষিতেই এই ঘোষণা করা হয়। কয়েকদিনের মধ্যেই জেলা থেকে সুপারিশপত্রও মিলবে বলে জানানো হয়। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেছিলেন, ‘রাজ্যব্যাপী প্রাথমিক স্কুলগুলিতে নিয়োগের জন্য এই তালিকা দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির পর যখন রায় ঘোষণা করা হবে তারপরেই বাকিদের নম্বরও দেওয়া হবে।