INS Arighat Submarine: দ্বিতীয় পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন নিয়ে ভারত এখন প্রস্তুত। যা ভাসতে চলেছে ভারত মহাসাগরে। শত্রুদের দমন করতে আইএনএস আরিঘাটকে (INS Arighat) পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। চিন ও পাকিস্তান এই দুটি প্রতিবেশী দেশের হুমকি মোকাবিলা করতে, এটি হবে ভারতের অনেক বড় পদক্ষেপ। ৪০,০০০ কোটি টাকার বাজেটে টর্পেডো, অ্যান্টি-শিপ ও ল্যান্ড অ্যাটাক মিসাইল সহ দু’টি পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
Indian 2nd INS Arighat Submarine
মিডিয়ার তথ্য অনুসারে, ছয় হাজার টন ওজনের আইএনএস প্রস্তুত করেছে বিশাখাপত্তনমের শিপ বিল্ডিং সেন্টারে (এসবিসি)। বিভিন্ন পরীক্ষা ও প্রযুক্তিগত সমস্যা কাটিয়ে ভারতের দ্বিতীয় পারমাণবিক চালিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন বা এসএসবিএন (INS Arighat) আনুষ্ঠানিক লঞ্চের জন্য প্রস্তুত।
বর্তমানে ভারতে এসএসবিএন রয়েছে একটি। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ চিন ও পাকিস্তানের হুমকি মোকাবিলা করতে প্রয়োজন ১৮টি ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন, ৪ টি এসএসবিএন (SSBN)এবং ৬ টি এসএসএন (SSN)। এক্ষেত্রে ৬০ টি সাবমেরিন রয়েছে চিনের কাছে, যার সংখ্যা আরও বাড়াতে চলেছে। এইরকম অবস্থায় আইএনএস আরিঘাটের লঞ্চ ভারতের নৌশক্তিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং এক থেকে দুই মাসের মধ্যে নৌবাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
নৌবাহিনী শত্রু দমনে আরও শক্তিশালী হবে
২০১৭ সালে পাঁচ বছরের অপেক্ষার পর চালু করা হয় আইএনএস আরিঘাট। যা প্রথমে আইএনএস অরিধমান নামে পরিচিত ছিল, তবে লঞ্চের সময় আইএনএস আরিঘাট নাম দেওয়া হয়। সাত বছর ধরে নানান পরীক্ষার পর, এখন সমুদ্রের গভীরে প্রবেশের জন্য প্রস্তুত। এটি ৭৫০ কিলোমিটার রেঞ্জের কে-১৫ মিসাইল দিয়ে সজ্জিত থাকবে এবং আইএনএস অরিহন্তের তুলনায় এতে ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা দ্বিগুণ, যা ভারতকে ‘জলযুদ্ধে’ আরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র বহন করার ক্ষমতা দেবে।
ভারতে আনতে চলেছে আরও প্রবল শক্তিশালী সাবমেরিন
ভারতের প্রথম ব্যালিস্টিক মিসাইল সাবমেরিন আইএনএস অরিহন্ত, ২০১৬ সালে ৯ বছরের পরীক্ষার পর চালু হয় এবং ২০১৮ সালে সম্পূর্ণরূপে কার্যকর হয়। এখন দ্বিতীয় সাবমেরিনের পালা। তৃতীয় এসএসবিএন আসার পর ভারতীয় নৌবাহিনী আরও শক্তিশালী হবে। ৭,০০০ টন ওজনের আইএনএস আরিদম্যান আগামী বছর ৩,৫০০ কিলোমিটার পাল্লার কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে চালু হবে।
ভারত আরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী চতুর্থ এসএসবিএন তৈরি করছে। ৯০,০০০ কোটি টাকার এটিভি প্রকল্পের অধীনে এটি হচ্ছে। ভবিষ্যতে ১৯০ মেগাওয়াট রিঅ্যাক্টর সহ ১৩,৫০০-টনের আরও শক্তিশালী এসএসবিএন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া, কয়েক বছর আগে ২০১৯ সালে করা ৩ বিলিয়ন ডলারের ডলারের চুক্তির আওতায় ২০২৬ সালে রাশিয়া থেকে উন্নত আকুলা-শ্রেণীর এসএসএন কেনা হবে।